দেখতে দেখতে পবিত্র রমজানের দুই দশক অতিবাহিত করে আমরা তৃতীয় ও শেষ দশক অতিবাহিত করছি। আর কয়েক দিন পর বিদায় নেবে ইবাদতের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজানের শেষ সময়গুলো খুবই মূল্যবান। এখনও যারা গাফিলতির মধ্যে আছি, আমাদের উচিত বাকি দিনগুলো কাজে লাগানো। বেশি বেশি ইবাদতে মশগুল থেকে পুরো বছরের পুঁজি সংগ্রহ রাখা। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-ইস্তেগফার, দোয়া, দরুদ-এসব আমলের মধ্য দিয়ে সময়টা অতিবাহিত করা। এ ছাড়াও সেহরি-ইফতারে আত্মীয়স্বজন ও পড়শীদেরও খেয়াল রাখা। অসহায়-গরিবদের মাঝে দান-সদকার হাত প্রসারিত করা। সম্পদের হিসাব করে জাকাত প্রদান করা।
রমজানে কিয়ামুল লাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক আমল। কিয়ামুল লাইল শব্দের অর্থ রাতের নামাজ। তারাবির নামাজ যেমন কিয়ামুল লাইলের মধ্যে পড়ে, তেমনি শেষ রাতে তাহাজ্জুদও সালাতুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত। রমজানে যেহেতু প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাই এ মাসে যথাসাধ্য বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ও কুরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৬৬২৬)। এ মাসেই যেহেতু কুরআন
মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছে তাই বেশি বেশি কুরআন নিয়েও মশগুল থাকা জরুরি।